বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ, আবেদন এখনই

বাণিজ্য মেলায় খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ, আবেদন এখনই

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়ার কথা ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪। যাঁরা এ বছরের মেলায় খণ্ডকালীন বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতে চান তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এখনই।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিসিসিএফইসি) পূর্বাচল নতুন শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় এক মাসের জন্য সেলস এক্সিকিউটিভ, ব্যান্ড প্রমোটর বা বিক্রয়কর্মী পদে কর্মী নিয়োগ দেয় সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

 প্রতিষ্ঠানভেদে যোগ্যতা চাওয়া হয় এইচএসসি পাস বা স্নাতক পাস। উচ্চতর পড়ুয়াদের কাজের সুযোগ দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান। বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আগে কোনো প্রতিষ্ঠান, শোরুম, মেলায় বা কোনো ইভেন্টের কাজে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

তবে যাঁরা এবারই প্রথম কাজ করতে চান সুযোগ থাকছে তাঁদেরও। বিক্রির কাজে ভালো দক্ষতা দেখাতে পরবর্তী সময়ে স্থায়ী কর্মী হওয়ার সুযোগও দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান।

দরকার উপস্থাপন দক্ষতা : ভদ্র, চটপটে, উদ্যমী, গুছিয়ে কথা বলায় দক্ষ প্রার্থীরা বাছাইয়ে অগ্রাধিকার পাবেন। স্মার্টনেস, শারীরিক সৌন্দর্য ও উচ্চতাকেও প্রাধান্য দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান।

বাছাইয়ে কম্পিউটার ও ইংরেজি জানা এমন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যোগ্য কর্মী বাছাইয়ে সাধারণত পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা বেশি দেখা হয়। নতুনদের ক্ষেত্রে দেখা হয় কাজের মানসিকতা, ক্রেতাদের চাপ সামলানোর ধৈর্য। ক্রেতাকে পণ্য সম্পর্কে কতটা ইতিবাচক তথ্য দিতে পারেন সে বিষয়টাও খেয়াল করা হবে।

কাজের সময় কতটুকু : একজন বিক্রয়কর্মী বা সেলস প্রমোটরকে কর্মরত অবস্থায় প্রতিদিন সকাল থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে হতে পারে।

তবে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই সকাল ও দুপুর এ দুই শিফটে কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। নারী কর্মীদের সাধারণত দুপুর ১২টা বা সাড়ে ১২টা থেকে শিফট শুরু হয়। একজন কর্মীকে প্রতিষ্ঠানভেদে ছয় থেকে আট ঘণ্টা কাজ করতে হতে পারে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত সময় কাজের জন্য দুপুরের খাবার, বিকেলের নাশতা, রাতের খাবার বা ওভারটাইমসহ অন্যান্য ভাতা দেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো মেলা শুরুর আগে নিজেদের পণ্যের বিক্রয় পলিসি অনুসারে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণও দেয়।নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের খোঁজখবর : ২০২৩ সালের মেলায় ৩৩১টি স্টল, ১৭টি প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছিল। কাজের সুযোগও হয়েছিল অনেকের। এবারও দেশি-বিদেশি নানা ধরনের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসবে এক মাসের জন্য। ফার্নিচার শিল্প প্রতিষ্ঠান, কনজিউমার ও হাউসহোল্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, রেডিমেড পোশাক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন ব্যান্ড, কসমেটিকস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ব্যান্ড, অ্যালুমিনিয়াম ব্যান্ড, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, ইলেকট্রনিকস কম্পানিসহ নানা ধরনের প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে পারেন আগ্রহীরা। মেলায় কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খণ্ডকালীন নিয়োগ চলবে ডিসেম্বর মাসজুড়ে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম্পানির মাধ্যমেও কর্মী নিয়োগ দেয়। তাই যোগাযোগ রাখা যেতে পারে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কম্পানিগুলোতে। মেলা শুরুর দুই থেকে তিন মাস আগে থেকেই বিভিন্ন কম্পানি নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে আগ্রহী কর্মীদের খোঁজ করে। এ ছাড়া বিডি জবসসহ চাকরির অনলাইনগুলোতে কর্মী চেয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। আগে মেলায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ থাকে। তাই তাদের মাধ্যমে ও সহযোগিতায় কাজের সুযোগ হতে পারে।

বেতন-ভাতা যেমন হয় : বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানভেদে বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন কর্মীদের ১২ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত  বেতন ও ভাতা দিয়ে থাকে বলে জানা যায়। তবে পুরনো ও দক্ষ কর্মীদের বেতন প্রতিষ্ঠানভেদে ১৫ থেকে ৩০ হাজার হতে পারে। সঙ্গে অনেক প্রতিষ্ঠান বিক্রয়ের ওপর কমিশন ও অন্যান্য বাড়তি কিছু সুবিধাও দিয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেতন-ভাতা নির্ধারণ করে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিকেলের নাশতা এবং নারী কর্মীদের রাতে বাসায় পৌঁছানোর সুবিধা দেয়।

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *